চলচ্চিত্র বিশ্লেষণ – দ্য সং অব স্প্যারোস (The Song of Sparrows)

You are currently viewing চলচ্চিত্র বিশ্লেষণ – দ্য সং অব স্প্যারোস (The Song of Sparrows)

আমাদের ফুলগুলো শুকিয়ে গেছে
আমাদের চোখে জল
পৃথিবীটা মিথ্যে
পৃথিবীটা স্বপ্ন

Official poster of the song of sparrow

দ্য সং অব স্প্যারোস  ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া মাজিদ মাজিদি পরিচালিত সিনেমা। জীবন সংগ্রাম এবং বেঁচে থাকার দর্শন।

সিনেমার মুখ্য চরিত্র করিম, উটপাখিদের খামারে শ্রমিক হিসেবে চাকরি করে। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী সহ গ্রামে বসবাস করে। আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না, তবে কোন রকমে চলে যায়। বড় মেয়ের শ্রবণশক্তি কম। তার একটি কানে শোনার যন্ত্র (hearing aid) রয়েছে, যেটি কিনা একটি পরিত্যাক্ত কূপে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। সেটি ঠিক করতে করিমকে শহরে যেতে হবে বলে পরামর্শ দেয় গ্রামের ডাক্তার।
এদিকে তার খামার থেকে একটি উটপাখি হঠাৎ করে পালিয়ে যায়। নানা রকম খোঁজ করার পরও তাকে আর পাওয়া যায়নি। যথারীতি করিমের ঘাড়ে দোষ চাপে এবং তার চাকরি চলে যায়।

করিম শহরে আসে মেয়ের কানে শোনার যন্ত্রটি নিয়ে। শহরের ডাক্তারের পরামর্শ, এটি ঠিক করতে সময় ও খরচ লাগবে অনেক, তার চেয়ে বরং একটা নতুন কিনে ফেলা যায়। এদিকে মেয়ের পরীক্ষাও সামনে, সুতরাং এই কানে শোনার যন্ত্রটি তার খুবই দরকার।
হঠাৎ করেই করিম শহরে নতুন কাজের সন্ধান পেয়ে যায় কিংবা কাজই তার সন্ধান করে নেয়। শুরুটা হঠাৎ এক ব্যক্তি তার বাইকে চেপে বসে ফোনে কথা বলতে বলতে। তারপর থেকে করিম বাইক ড্রাইভার বনে যায় এবং শহরের মানুষের জীবন-যাপন দেখতে থাকে। শহরের মানুষ মিথ্যে বলে বেশি, শহরের মানুষ দয়ালু, আবার এই শহরের মানুষ চোর ও ধোঁকাবাজ। একের পর এক শহরের নানা রকম ফেলে দেয়া জিনিসপাতি সে গ্রামে নিয়ে যেতে থাকে। একটা সময় সেই শহুরে জিনিসপাতির কোলাহলেই ঘটে যায় এক অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা, তারপর থেকে করিম বুঝতে পারে, গ্রামীণ পরিবার ও সমাজের মূল্য।

Karim after accident

মূলত পুরো সিনেমার মূল বার্তা (inner message) হচ্ছে, গ্রামীণ সমাজ এবং গ্রামীণ পরিবারের মূল্য। তার পাশাপাশি রয়েছে মাজিদ মাজিদি কর্তৃক বেঁচে থাকার তার নিজস্ব ধর্মীয় কিংবা আধ্যাত্মিক দর্শন। গ্রামের মানুষজন যেখানে সেখানেই প্রার্থনা করে কিংবা করতে পারে সেটা ইরানে যেমন ঘটে তেমনি আমাদের দেশেও ঘটে। আর মাজিদির সিনেভাষায় এইটাকে গ্রামের কিংবা শহরের সবার মূল্যায়ন করা উচিত।
এই সিনেমার উটপাখি এবং উটপাখির ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম অনুসারে। যার বিস্তারিত এই লিঙ্কগুলোতে: The Owl and the Ostrich, Ostrich Eggs and Peacock Feathers.  

মাজিদ মাজিদির সিনেমায় ঘুরে ফিরে তার ব্যক্তিগত ধর্মীয় মতবাদের উপস্থিতি থাকবেই। একটা দৃশ্যে, করিম যখন কিনা ফ্রিজটি বেচে দেওয়ার ধান্ধা করে বসে তখন সে হঠাৎ করে একদল উটপাখিকে দেখে একটি ট্রাকের ওপরে। তারপর সে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয় এবং যথারীতি ফ্রিজটি যথোপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেয়।

Ostrich in city

আরেকটি দৃশ্যে দেখা যায় একজন যাত্রী ভুল করে করিমকে মূল ভাড়ার বেশি টাকা দিয়ে যায়। করিম অবশ্য টাকাটা ফেরত দিতে চেয়েছিল কিন্তু ততক্ষণে যাত্রীটি চলে যায়। পরে ঐ বাড়তি টাকা সহকারে সে দুই কেজি ফল (সম্ভবত বড়ই) কিনে। পরে কয়েকটা শটে দেখা যায়, সেখান থেকে অনেকগুলো বড়ই রাস্তায় পড়ে যায়, পানিতে ভেসে যায়। যা মূলত ধর্মীয় নৈতিকতারই ইঙ্গিত দেয়!

Ritual morality sign

তাছাড়া তার অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটার আগে একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একটি শিশু তাকে ঝাড় ফুঁক দিচ্ছে, যে শিশুটির মুখে ছিল নিষ্পাপ আবেদন। করিম শিশুটিকে সাহায্যের জন্য কিছু টাকা দিতে চায়। তবে তার কাছে খুচরা টাকা না থাকার কারণে,  টাকা খুচরা করার জন্য কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হন। পরে মেয়েটিকে টাকা না দিয়েই সে চলে যায়। আর তার পরপরই ঘটে যায় তার অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনাটি। এই যে, এখানেও কিন্তু সেই ধর্মীয় নৈতিকতারই ইঙ্গিত মেলে!

Street girl

দেখুন, পোষা পাখি বলুন আর সদ্য কেনা পাখিই বলুন না কেন, আপনি যখন তাকে খাঁচা থেকে একবার বের করে দিবেন তখন তার নিজ থেকে খাঁচায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। কেননা খাঁচা পাখির জন্য উপযুক্ত জায়গা নয়, তার উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে প্রকৃতি। এখন সেই প্রকৃতি কি কোন সীমানা, গ্রাম, শহর মানে? উটপাখিটি খামার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, মরুভূমি চষে আবার নিজে থেকেই খামারে ফিরে আসে। কেন? মূলত পাখিটি বেঁচে থাকার জন্য খামার থেকে ভালো কোন আর জায়গা খুঁজে পায়নি। সে যদি বেঁচে থাকার জন্য অন্য কোন ভালো জায়গা খুঁজে পেত, তখন কিন্তু সে আর ফিরে আসতো না। কিন্তু মাজিদ মাজিদি সচেতনভাবেই উটপাখিটিকে সেই ভালো জায়গাটি খুঁজতে দেয় নি! কেননা, নাটাই কিন্তু তারই হাতে। ঘুড়ি তার ইশারায় চলবে, এটাই স্বাভাবিক। সাধে কি আর বলি, সিনেমা হচ্ছে দর্শন এবং প্রপাগান্ডার সেরা মাধ্যম! 

এই সিনেমায় সমান্তরাল (parallel) তিনটি ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, এক, উটপাখিটার পালানো এবং ফিরে আসা। দুই, করিমের শহরে যাওয়া এবং পুনরায় গ্রামের ফিরে আসা অতঃপর দৃশ্যমান শিকড়ের মূল্য বোঝা। তিন, শিশুগুলোর হাজার খানেক গোল্ডফিশ চাষাবাদের পরিকল্পনা এবং শেষমেষ একটা গোল্ডফিশ নিয়ে হাজির হওয়া।

মানুষ নিজের স্বপ্নের জন্য কিনা করতে পারে! বিশেষ করে শিশুগুলো গোল্ডফিশ চাষাবাদের জন্য প্রচুর খাটতে থাকে এবং এক সময় তারা সে বন্দোবস্তও করে ফেলে। পরে কেবল একটা সামান্য ফুটোর জন্য সমস্ত স্বপ্ন ভেস্তে যায়। সাথে সাথে তারা কিছুক্ষণের জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং তার কিছুক্ষণ পরই আবার তা তারা খুব সহজেই মেনে নেয়। এই সিনেমা থেকে যদি কোন দর্শন নেয়ার থাকে তবে আমি এই অংশটিকেই বেছে নেব। যদিও এই মানসিকভাবে ভেঙে না যাওয়া কিংবা সহজে মেনে নেয়ার দর্শন নিয়ে বহু আগে থেকেই অনেক সিনেমা হয়েছে। যেমন এই মুহূর্তে, জোরবা দ্য গ্রিক ( Zorba the Greek 1964) এর কথা মনে পড়ে, সাথে আরো মনে পড়ে ডি সিকা, চ্যাপলিনের সিনেমাসমূহ। সাধারণ ভাবে যদি বলি, ‘যা গেছে তা গেছে তা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই এইসব অবশ্য আজকাল খুবই সাধারণ দর্শন, যা অনেকেই জানে তবে জানার পরও, তা ধারণ আর কয়জনই বা করে!

Karim with village children

তা যাই হোক আজ্ঞে মূল বিষয়ে ফেরা যাক, দৃশ্যরূপ ও চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ হতে দ্য সং অব স্প্যারোস -হতে শেখার আছে অনেক। সিনেমাটোগ্রাফি প্রথম দেখেই অভূতপূর্ব, অবশ্য যার প্রধান কারণ হলো, স্থান (location)! মধ্যপ্রাচ্যে আর বাঙলাদেশে বসে নিয়মিত দেখা যায় না, যে কারণে সেই স্থানের প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা থাকেই। যেমনি থাকে দার্জিলিং এর তুষার কিংবা আলেক্সার বরফের প্রতি।

এই সিনেমায় প্রত্যেকটা শটই অর্থবহ। বিশেষ করে এরিয়াল শটগুলো। আগে সিনেমায় এরিয়াল শট সাধারণত হেলিকপ্টার হতে নেয়া হতো। ইদানীং অবশ্য বাজারে ড্রোনের সহজলভ্যতার কারনে এখন এটিই ব্যবহার করছে অনেক স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালকগণ। সিনেমার প্রথম দিকের একটি দৃশ্যে পালিয়ে যাওয়া উটপাখিটিকে খুঁজতে গিয়ে করিম উটপাখির বেশ ধারণ করে উটপাখিটিকে খুঁজতে থাকে। তখন কয়েকটা অভূতপূর্ব এরিয়াল শট দেখা যায়।

aerial shot

এই সিনেমার এরিয়াল শটগুলো দ্বারা আমরা মূলত যেটা বুঝতে পারি সেটা হচ্ছে, টিকে থাকার সংগ্রাম কষ্টকর এবং তার রাস্তাটাও অনেক দীর্ঘ কিংবা বড়। আরেকটি দৃশ্যে যখন কিনা করিম তার নীল দরজাটি প্রতিবেশী থেকে নিয়ে আসে। অবশ্য এই দরজা নিয়ে আসার ঘটনাটা সে শহরের বাসা পরিবর্তনকারী যাত্রী হতে অনুপ্রাণিত হয়ে করে বসে।

Karim and blue door aerial shot

তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এইখানে মাজিদ মাজিদি তার ধর্মীয় দর্শনটাকে খুবই ট্যাকনিক্যালি যোগ করেছেন। মাজিদ মাজিদির প্রায়ই সবগুলো সিনেমার ভেতর রঙ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিশেষ করে সবুজ ও নীল রঙ। দরজার রঙ নীল কেন? ইসলাম অনুসারে নীল ও সবুজ ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। নীলের সাথে পুরোপুরি স্বর্গের একটা সম্পর্ক আছে। এই ধরণের রঙের অর্থবহ ট্যাকনিক তিনি তার প্রায়ই সিনেমাগুলোতে ব্যবহার করে থাকেন। ইসলাম অনুসারে রঙ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এই লিঙ্কগুলোতে:  Visual Cues in Islamic Art, Islamic Greenwashing

এখানে এই এরিয়াল শট দ্বারা আমরা যেটা বুঝতে পারি সেটা হচ্ছে, স্বর্গের ছায়া নিয়ে করিম ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু তা সে দেখতে পারছে না। তাছাড়া স্বর্গে যাওয়া এতো সহজ নয়, আর তারাই স্বর্গে যেতে পারবে যারা কিনা ইহকালে সৎ থাকবে এবং কঠোর পরিশ্রম করবে। নীচের এই শটটি তারই বাহক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

Karim with a blue door

মাজিদ মাজিদির সিনেমায় আরেকটি বিশেষ দিক হলো props ও costume-এর যথোপযুক্ত ব্যবহার। তার প্রায়ই সবগুলো সিনেমায় props ও costume ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ এবং যথারীতি অর্থবহ। দ্য সং অব স্প্যারোস -এ বিশেষ করে করিমের পোশাক। পুরো সিনেমায় করিমের গায়ে ঘুরে ফিরে কেবল একটি পুরানো গেঞ্জি ও একটি শার্ট দেখা যায়, এইটা মূলত তার আর্থিক অবস্থার দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। সিনেমার একটা অংশে শহরে, এক যাত্রীকে নামাতে গিয়ে হঠাৎ করে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই যাত্রীর বাসা পাল্টানোর কাজে লেগে যায়। এবং সে সময় তার পরনে’র শার্টখানা ছিড়ে যায় এবং ঐ যাত্রী তাকে একটি নতুন শার্ট দেয়। এবং এই শহুরে শার্টখানাই আবার তার দূর্ঘটনার পরে ছিঁড়ে ফেলতে হয়।

Karim with his family after accident Costume

অফিসের বাইরে রাখা তার পর্পসগুলো দেখেই আমরা বুঝতে পারি যে তার চাকরি চলে গেছে। এমনকি বাড়িতে যখন ফিরে যায় তখন ঐ props-গুলো দেখেই কিন্তু তার স্ত্রীও বুঝতে পারে, তার চাকরি চলে গেছে। সুতরাং, আজ্ঞে চলচ্চিত্রে props ও costume কেবলমাত্র ধারাবাহিকতা (continuity) বজায় রাখার জন্য নয়, এইসবও কিন্তু কথা বলে।

সিনেমার সঙ্গীত দারুণ ও অর্থবহ। মাঝে মাঝে খুবই রহস্যজনক কিংবা আধ্যাত্মিক। আর এই সিনেমায় সাউন্ড ইফেক্ট নিজেই শহর আর গ্রামকে আলাদা করে দিয়েছে।

তো মাজিদ মাজিদির প্রায় প্রত্যেকটা সিনেমা আসলে অনেকটা জুড়ে নয়া-বাস্তববাদী (neorealist) সিনেমা। তার অধিকাংশ সিনেমাগুলোয় মুখ্য চরিত্রে এমন একজন থাকবেই, যে কিছু পারিবারিক নীরব প্রহসন সাথে করে খুব দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটনের ভেতর দিয়ে জীবন-যাপন করবে। দ্য সং অব স্প্যারোস -এর করিমের সাথে তার ২০০৫-এ করা সিনেমা দ্য উইলো ট্রি (The Willow Tree)-এর ইউসুফের সাথে ব্যাপক মিল দেখা যায়। যেহেতু একই পরিচালক সেহেতু টেকনিক্যালি একটা সাথে আরেকটার কিছুটা মিল থাকবেই, তবে মাজিদ মাজিদির বেলায় একটু বেশিই যেন! সিনেমাটোগ্রাফি, সঙ্গীত, গল্প বলার শৈলী তদোপুরি তার সিনেমার ভাষায় একটার সাথে আরেকটার মিলটা একটু বেশি।

দৃশ্যরূপে দ্য সং অব স্প্যারোস  চোখের জন্য একটি আরামদায়ক সিনেমা। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এই সিনেমায় মাজিদি গ্রামীণ জীবন যাপনকে সবার দৃষ্টিগোচর করতে গিয়ে আধুনিক জীবন-যাপনের কড়া সমালোচনা করেছেন। যেটি কিছু জায়গায় পক্ষপাতমূলক কিংবা একপেশে মনে হয়েছে আমার কাছে। এছাড়া ঘুরে ফিরে দৃশ্যমান শিকড়েই ফিরে আসতে হয়, কিংবা ফিরে আসা উচিত, সিনেমার এই মতবাদের সাথে আমি মোটেও একমত হতে পারিনি। আমার আপনার শিকড় যে পুরো পৃথিবী জুড়ে, তা আপনি কী করে অস্বীকার করবেন? আমি চট্টগ্রামে জন্মেছি তাই বলে চট্টগ্রামেই সারা জীবন কাটিয়ে দিব কিংবা দিতে হবে এটা একটি স্থূল মতবাদ মনে হয় আমার কাছে। শহর কিংবা নগর হঠাৎ করে আকাশ থেকে পড়ে একদিনে গড়ে উঠেনি। এই শহর গড়ার পিছনে গ্রামের মানুষও তো দায়ী। শহুরে আধুনিক জীবন যাপনের অনেক কিছুতেই বহুবিধ সমস্যা আছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে পুরো আধুনিক জীবন যাপনের ব্যবস্থাটা একটা ভ্রান্ত ধারণা! তেমনি গ্রামীণ কিংবা চিরাচরিত জীবন যাপনের ব্যবস্থায়ও বহুবিধ সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে বেঁচে থাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দুটোর ভালো ভালো দিকগুলো একসাথে করতে পারলেই কিন্তু বহুবিধ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু পরিচালক তার পুরো সিনেমার গল্পে এটি না করে একপেশে হয়ে, কেবল গ্রামীণ জীবন যাপন এবং তার ধর্মীয় মতবাদকে দৃষ্টিগোচর (highlight) করে গেছেন। এছাড়া এই চলচ্চিত্রটিতে আমার আর কোন অংশে কোন আপত্তি নেই।
তো যাই হোক, অতঃপর পারিবারিক নীরব প্রহসন, দৃষ্টিনন্দন সব দৃশ্য, সঙ্গীত, props ও costume অসাধারণ ব্যবহার মিলে দ্য সং অব স্প্যারোস  একটি শিক্ষণীয় চলচ্চিত্র বটে।

Karim wears ostrich costume

চলচ্চিত্র বিশ্লেষণটি (Film Criticism) সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

মন্তব্য করুন